আপনারা যদি এই ইউটিউব চ্যানেলটা দেখেন, মাত্র এগারোটা ভিডিও আপলোড করে ছয়শো বায়াশি কে সাবস্ক্রাইবার গেইন করেছে এবং এর মান্থলি ইনকাম হচ্ছে ২৪২ ডলার থেকে প্রায় ৪০০০ ডলার পর্যন্ত। এরকম আরো অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেগুলো শুধুমাত্র এআই দিয়ে ভিডিও তৈরি করে মান্থলি প্রায় ১ থেকে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত সহজেই ইনকাম করছে।
এই ভিডিওতে আমরা দেখবো কিভাবে স্ক্রিপ্ট হয়, ভয়েস হয় এবং ভিডিও সবকিছুই এআই দিয়ে তৈরি করা যায়। আপনি আপনার চ্যানেলের জন্য এইভাবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
সো প্রথমে আমাদের দরকার স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য আমরা চ্যাটজিপিটিতে চলে যাব এবং সেখানে একটা প্রম্পট দিয়ে দিব — Write a 30-second script for a horror story। এখানে আপনি চাইলে থার্টি সেকেন্ড থেকে বাড়িয়ে আপনার ইচ্ছামতো চেঞ্জ করতে পারেন কিংবা টপিকও চেঞ্জ করতে পারেন। যেমন আমি এখানে হরর টপিক দিয়েছি, তো আপনি ইচ্ছামতো টপিক দিয়ে স্ক্রিপ্টটা জেনারেট করে নিতে পারেন।
আমাদের স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ। এখন আমাদের প্রয়োজন ভয়েস এবং ভিডিও। ভিডিও ও ইমেজ ক্রিয়েট করার জন্য আমরা আবার চ্যাটজিপিটিতে গিয়ে প্রম্পট দিয়ে দিব — Make a prompt for generating image of each scene using Leonardo AI। যেহেতু আমি লিওনার্দো এআই ইউজ করবো তাই এটা উল্লেখ করে দিলাম।
এখন চ্যাটজিপিটি প্রত্যেকটা সিনে আমরা কী দেখাবো, সেই ইমেজটা বা ভিডিওটা তৈরি করার জন্য প্রম্পটগুলো রেডি করে দিলো। এখানে পাঁচটা সিন থাকবে। পাঁচটা সিনের জন্য পাঁচটা প্রম্পট রেডি। এখন চ্যাটজিপিটি আমাকে বলছে, চাইলে এই প্রম্পটগুলো কিভাবে ভিডিওতে সাজাবো সেটাও বুঝিয়ে দিতে পারবে। আমি নরমালি লিখে দিলাম — Sure।
এখন চ্যাটজিপিটি প্রত্যেকটা সিনের ডিউরেশন, ভিজ্যুয়াল, সেই ভিজ্যুয়াল তৈরির জন্য লিওনার্দো এআই-এ কী প্রম্পট দিতে হবে এবং প্রত্যেকটা সিনে কী ভয়েস থাকবে সব একসাথে লিখে দিলো। এখান থেকে আমরা শুধু প্রম্পটগুলো কপি করে নিব।
কপি করার পরে আমরা চলে যাব লিওনার্দো এআই-তে। লগইন করে নেয়ার পর Create এ ক্লিক করবো। এরপর ইমেজে গিয়ে প্রম্পটটা পেস্ট করে দিব এবং ইচ্ছামতো মডেল সিলেক্ট করবো। এখানে আমি Lifelike Vision সিলেক্ট করেছি। আপনারা চাইলে অন্য যেকোনো মডেল ইউজ করতে পারেন।
এখন Generate ক্লিক করলে লিওনার্দো এআই আমাদের জন্য ইমেজ ক্রিয়েট করে দিবে। ইমেজগুলো যদি পছন্দ হয় তাহলে ডাউনলোড করে নিব। যদি না হয় তাহলে অন্য কোনো মডেল বা একই মডেল দিয়ে নতুন করে আবার জেনারেট করে নিব।
এভাবে পাঁচটা সিনের জন্য আলাদা আলাদা ইমেজ জেনারেট করবো। সবগুলো ইমেজ রেডি হলে ডাউনলোড করে নিব।
আমাদের স্ক্রিপ্ট রেডি, ইমেজ রেডি। এখন দরকার শুধু ভয়েস। প্রথমে আমরা চ্যাটজিপিটিতে যাব এবং প্রম্পট দিয়ে দিব — List out the voiceover lines for each scene। চ্যাটজিপিটি আমাদের সিন অনুযায়ী ভয়েস লিখে দিবে।
ভয়েস জেনারেট করার জন্য আমরা RunwayML বা ElevenLabs ব্যবহার করতে পারি। আমি এখানে ElevenLabs ইউজ করছি। লগইন করে Text to Speech এ যাব। স্ক্রিপ্ট থেকে ভয়েস লাইনগুলো কপি করে এখানে পেস্ট করবো, তারপর ইচ্ছামতো ভয়েস ক্যারেক্টার সিলেক্ট করবো।
সিলেক্ট করা হয়ে গেলে Generate ক্লিক করলে ভয়েস রেডি হবে।
উদাহরণস্বরূপ —
“এক রাত আমি একা বাড়িতে ছিলাম। বাইরে হালকা বাতাস, আর ভেতরে ঘন অন্ধকার।”
যদি ভয়েস রোবোটিক শোনায় তবে আবার Generate ক্লিক করে নতুন ভয়েস নিতে পারবো।
এইভাবে প্রত্যেকটা সিনের জন্য আলাদা ভয়েস তৈরি করে নিব।
এখন আমাদের ভিডিও এডিটিং করতে হবে। আমি এখানে CapCut ব্যবহার করছি।
ক্যাপকাট ওপেন করে সব ভয়েস ও ইমেজ ইমপোর্ট করবো। টাইমলাইনে সিন অনুযায়ী ভয়েস সাজিয়ে তারপর ইমেজগুলো মিলিয়ে সাজিয়ে নিব।
ভিডিওতে হরর ফ্লেভার আনার জন্য একটি হরর ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড এড করবো। সাউন্ডটাকে ফেড-ইন ও ফেড-আউট করবো।
সবশেষে ভিডিওর ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট যোগ করবো। যেমন দরকার হলে স্ক্রিন শেক, গ্লিচ বা ব্লার ইফেক্ট।
এভাবে ভিডিও শেষ হলে সেটা হবে একদম পারফেক্ট।
চূড়ান্ত স্ক্রিপ্টটি এরকম দাঁড়ায় —
“এক রাত আমি একা বাড়িতে ছিলাম। বাইরে হালকা বাতাস আর ভেতরে ঘন অন্ধকার। হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে উঠলো, নাম্বারটা একেবারে অজানা। ফোন রেখে হঠাৎ শুনি কেউ দরজায় ঠক ঠক করছে। আমি ধীরে ধীরে দরজার দিকে গেলাম। খুলে দেখি বাইরে কেউ নেই। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। আমি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ালাম। আর তখনই দেখি কেউ আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে, মুখে বিকৃত হাসি। এরপর আমি শুধু একটা চিৎকার করেছিলাম, আর সব অন্ধকার।”
এখন ভিডিওটা ইউটিউবে আপলোড করার জন্য একদম রেডি।
আপনার ভিডিওটি চ্যানেলে আপলোড করুন এবং প্রতিদিন এআই এবং ইউটিউব টিউটোরিয়াল ভিডিও পেতে অবশ্যই কানেক্টেড থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে। দেখা হবে পরের ভিডিওতে।